দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে তা ২ হাজার ৭৮৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক দক্ষতা নির্ভর কাজের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই দক্ষতা অনুযায়ী প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। দক্ষতার জায়গায় আমরা যাতে বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে পারি সেই চেষ্টা করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেট নিলে দেশে ও বাইরে কাজের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ‘খুব অল্প অর্থ–সম্পদ’ নিয়েও উন্নত ধনী দেশের মানুষের মতোই সুখী। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ‘টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায়’—এই বহুল প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণাটি।
গত ১৭ বছরে বিশ্বজুড়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ৩ গুন বেড়েছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। তারপরও লন্ডন থেকে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিকসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান এখনো গরিব দেশের তালিকায়। শুধু তাই নয়, ১২৪ তম অবস্থান নিয়ে ওই তালিকাটির তলানিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে তামাকের যে করহার আছে, তা তামাকের ব্যবহার ঠেকাতে পারছে না। কার্যকর করারোপের অভাবে দেশে তামাকপণ্য অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। সিগারেটের চারটি স্তর থাকার ফলে সিগারেট ব্যবহারকারী সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে তুলনামূলকভাবে কম দামি সিগারেট বেছে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কমে গেল। ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাবে বাংলাদেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেছে।
গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
মাথাপিছু আয় দিয়ে উন্নয়নের স্তর বোঝানোর চেষ্টা ও এর অনর্গল প্রচারণায় মানুষ এখন মহাবিরক্ত। অবশ্য বাংলাদেশে এই বিরক্তিকর প্রচারণা শুরু হওয়ার বহু আগেই বিশ্বের অর্থনীতিবিদ, গবেষক, শিক্ষক ও অন্যান্য পেশাজীবীরা উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে এ ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং সেই প্রত্যাখ্যান শুধু যে সাম্যবাদী চিন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২১ হাজার টাকা এবং প্রতিদিন এ আয় বাড়ছে
গত ৫০ বছরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বিশেষ করে কৃষি ও অকৃষি খাত ঢের সম্প্রসারিত হয়েছে। সেটি একটা ভিত রচনা করেছে আমাদের অর্থনীতিতে।
গত নভেম্বরে মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার খবর দেয় বিবিএস। তখন আয় দেখানো হয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। তবে সাময়িক সেই হিসাবকে ছাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার।
আমরা এখন আছি সুখবাদী এক ব্যবস্থায়, যেখানে জিডিপি বাড়লে স্তুতির নহর বয়ে যায়। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হলেও শোনা লাগে, ‘এ আর এমন কী!’ সুখী হওয়া এখানে ‘লাইনে’ আসার মতো। ভাতের কষ্ট এখানে অচ্ছুতের হট্টগোল।
চলতি বছরের মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় তিন হাজার ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। অপরদিকে, মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১১ বিলিয়ন ডলারে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অত্যন্ত সুখবর। যদিও সব মাথা ঠিক সমান স্বস্তিতে নেই। আয় বাড়ার খবরে তাই সাধারণের আনন্দ ঢের কম। বরং পকেট বাঁচাতে হিমশিম অবস্থায় উন্নয়নের মহাসড়কে হোঁচট খেতে হচ্ছে সময়ে সময়ে।
বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে। নতুন ভিত্তিবছরের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলার, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। সে হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২৭ ডলার।
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। এখন দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা।